Posts

Showing posts from April, 2019

Don't Quit

Don't Quit When things go wrong, as they sometimes will, When the road you're trudging seems all uphill, When the funds are low and the debts are high, And you want to smile, but you have to sigh, When care is pressing you down a bit, Rest, if you must, but don't you quit. Life is queer with its twists and turns, As every one of us sometimes learns, And many a failure turns about, When he might have won had he stuck it out; Don't give up though the pace seems slow-- You may succeed with another blow. Often the goal is nearer than, It seems to a faint and faltering man, Often the struggler has given up, When he might have captured the victor's cup, And he learned too late when the night slipped down, How close he was to the golden crown. Success is failure turned inside out-- The silver tint of the clouds of doubt, And you never can tell how close you are, It may be near when it seems so far, So stick to the fight when you're hardest hit-- It's when thin...

Never Judge a book by its cover - short story 1

যাদের আমরা তথাকথিত ভদ্রলোকেরা ছোট মানুষ ভাবি | যদি ও আমার নিজের এই বিষয় যথেষ্ট সন্দেহ আছে আমরা ঠিক কতটা ভদ্র | যাদের আমরা বাইরে থেকে দেখে ছোটো মনে করি আসলে তারা অত ছোটো নয় এমন কি তথাকথিত অনেক বড় মানুষের চেয়েও মনের দিক থেকে অনেক বড়।ওদের কৃতজ্ঞতা বোধ আত্মমর্যাদাবোধ কারো থেকে কম নয়। বাকিটা গল্পটা পড়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন......। taxiwala আজ সন্তোষের মাথায় বিরাট চিন্তা । বেলা একটা হবে । মাসের দ্বিতীয় রবিবার । মালিকের বাড়ী থেকে ট্যাক্সিটা নিয়ে বেড়োচ্ছে আজ দেরিতে। ভবানী সিনেমা হলের পাশের একটি গলিতে থাকে মালিক অনিল বাবু । মালিক জানে আজ দেরিতে গাড়ি নেবে । কারন মালিককে জানিয়ে ছিল আগের দিন । আজ তার মেয়েকে পাকা দেখা দেখতে আসবে। একটু আগের ঘটনা গুলি মনে পড়তে লাগলো । একটু আগেই মেয়ে সম্পা কে তার প্রেমিক মানিকের দাদা কমলেশ ও লক্ষ্মী বৌদি দেখে, পছন্দ করে গেছেন । ছেলে মানিক মেয়ের কলেজেই পড়তো। সেখান থেকেই আলাপ । দাদা বৌদি ও ভাই একসঙ্গে ঠাকুরপুকুরের বাছার পাড়ায় থাকে । দুই কাটার মধ্যে ছোট্ট একটি বাড়ী আছে । ছোট থাকতেই মা ও বাবাকে হারিয়েছে । দাদা কমলেশ বেহালায় ফুটপাতে অটো ও টুহ...

জীবন সংগ্রাম ও ভালোবাসা - love is all about staying beside the loved one in every steps of life

জীবন সংগ্রাম ও ভালোবাসা  একটু বেলা করেই ঘুমটা ভাঙ্গল। ভোর রাতে বাড়ি ফিরেছে ছেলেটা। সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর শরীরটা আর সায় দেয় না। ক্লান্ত বিধ্বস্ত শরীরটা তখন ঐ একটুকরো বিছানাকে খুঁজে বেড়ায়। ছেলেটা যখন কাজের মধ্যে থাকে তখন এক মুহূর্ত দম ফেলার সময় পায় না। নাঃ, আর দেরি করা ঠিক হবে না। দ্রুত তৈরি হতে হবে। দুপুর একটার মধ্যে আবার কাজে যোগ দিতে হবে। সারাদিনের অমানুষিক খাটা খাটুনির পর আবার ভোর রাতে বাড়ি ফেরা। আবার পরদিন বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা। তারপর দ্রুত তৈরি হয়ে নিয়ে আবার কাজে যোগ দেওয়া। আগামী কয়েকটা দিন এভাবেই চলবে সৌম্যর। পুরোনাম সৌম্যজিত সাহা,  মৃদুভাষী , মেধাবী  কলেজের পাশাপাশি  সৌম্য পার্ট টাইমে একটি সংস্থায় কর্মরত।। মা-ছেলের ছোট্ট একটা অভাবের সংসার। মাত্র মাস দুয়েক হয়েছে এ কাজে সে জয়েন করেছে। পাশাপাশি সে সমান গুরুত্ব সহযোগে নিজের পড়াশোনাটাও চালিয়ে যাচ্ছে। মেধাবী ছাত্র। কাজটা না করলে সৌম্যকে পড়াশোনায় ইতি টানতে হত। উঁচু ক্লাসের পড়াশোনায় খরচের যা বহর, তাতে সৌম্যর এই কাজটা খুবই প্রয়োজন ছিল। এহেন সৌম্য আবার একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছে। মেয়েটি সৌম্যর সঙ্গে একই কলেজ...

তুমি এলে তাই -পর্ব ১ অপরিচিতা

পর্ব ১ অপরিচিতা  সল্টলেকের অফিস থেকে বেরিয়ে অফিসের গাড়ী করে উল্টোডাঙ্গা স্টশনে পৌঁছোতে প্রায় ন টা বাজলো অরিত্রর। চারিদিকে লোকে লোকারন্য, দেড় ঘন্টা হয়ে গেছে নাকি কোনো আপ ট্রেন আসেনি। ডাউন ট্রেনের ও একই অবস্থা…এখানেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে শিয়ালদা স্টেশনে কি হতে পারে আর এর পরে যে ট্রেন আসবে তাতে কোনো মতেই যে ওঠা যাবেনা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কি করা যায় ভাবতে ভাবতে শিয়ালদা চলে যাওয়া ভালো, কয়েক টা ট্রেন ছেড়ে তার পর না হয় ওঠা যাবে ভেবে স্টেশনের বাইরে এসে বাস ধরে শিয়ালদা পৌঁছে দেখলো একই অবস্থা, স্টেশনে ঢোকার মতো অবস্থা নেই। বাড়ীতে একটা ফোন করে জানিয়ে দেওয়া ভালো মনে করে পকেটে হাত দিয়ে দেখে মোবাইল টা নেই…এই নিয়ে পাঁচবার হল…কখন যে তুলে নেয় বোঝাই যায় না। যাক খুব একটা দামী ছিল না, আর একটা কিনে নেওয়া যাবে ভেবে বুথে গিয়ে ফোন করল, দিদান ফোন টা রিসিভ করলে মোটামুটি বুঝিয়ে বলে দিল…ট্রেনের গন্ডগোল আছে… দেরী হবে ফিরতে…তোমরা খেয়ে শুয়ে পড়, যা অবস্থা তাতে কত রাতে পৌঁছব, বলতে পারছি না। দিদান শুনে বলল…খুব অসুবিধা দেখলে ও যেন ভবানীপুরের বাড়ী চলে যায়। অরিত্র…কোনো দরকার নেই…আমি ঠিক চলে যাবো বলাতে দ...

বাবা তোমাকে -a heart touching story of a SON'N'DAD

রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া দেওয়ার জন্য পকেটে হাত দিতে যাবো হঠাৎ দেখলাম রবিন চোখ মুছছে।ভাবলাম গামছা দিয়ে হয়তো ঘাম মুছছে।কিন্তু খুচরো পয়সা ফেরত নেওয়ার সময় দেখলাম রবিন চোখের জল আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে।রবিন আমাদের এলাকায় সবার খুব পরিচিত রিক্সাওয়ালা।আর পাঁচ জন রিক্সাওয়ালার মতো সে নেশা করে না।সারা দিনের উপার্জন সে রাতে এসে স্ত্রীর হাতে তুলে দেয়। গৃহিণীর সুনিপুণ পরিচালনায় তার সংসার দিব্যি চলে যায়। তাদের যাবতীয় স্বপ্ন একমাত্র সন্তান ঋষিকে নিয়ে। পড়াশোনায় দক্ষ ঋষি স্কুলের শিক্ষকদের কাছে খুবই প্রিয়। রবিন ও একসময় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল ।কিন্তু ভাগ্য তাকে ধাক্কা দিতে দিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাটুলির রিক্সা স্ট্যান্ডে এনে ফেলেছে।এখন সে সারাদিন রিক্সা চালায় আর সুযোগ পেলেই মনের টানে কাগজ কলম নিয়ে বসে যায় ছড়া/কবিতা লিখতে। কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম-"কি ব্যাপার রবিন? কাঁদছো কেন?বাড়িতে কোনো বিপদ?" -"ও কিছু না দাদা।" বলে জোর করে হেসে ভিতরের আবেগটাকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো।কিন্তু ওর সমস্যা টা না শোনা পর্যন্ত শান্তি পাবো না।তাই বললাম-"চলো রবিন বাড়ি থেকে এক গ্লাস ঠ...

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও -A true-story of LOVE

গত তিনবছর আমি কলকাতায় আসি নি। আসলে কলকাতায় আর কেউ নেই আমার। বাবা আর মা দুজনেই মারা যাবার পর কলকাতার ওপর টানও নেই আর। তিন বছর আগে যখন ফিরছিলাম তখন ট্রেনেই পরিচয় হয়েছিল এক পারিবারের সাথে। স্বামী, স্ত্রী আর একটি মেয়ে। প্রথম দুজন মধ্যবয়স্ক আর মেয়েটির বছর কুড়ি বয়েস। থ্রি টায়ারে যাতায়াত করেন যারা তারা জানেন, বেশ কিছুক্ষন কেউ পরস্পরের সাথে কথা বলেন না। তার পর আসতে আসতে জড়তা কাটে। আমি সাধারণত কারুর সাথেই নিজে থেকে কথা বলি না। এরা দেখলাম একটু অন্যরকম। ট্রেন চলতে শুরু করতেই কথা বলা শুরু করলেন। কি করি, কোথায় থাকি। বললাম সব। বাবা, মা নেই। কলকাতায় এসেছিলাম এমনিই। কলকাতাতেই থাকতাম। বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছিলাম। এখন থাকি কন্যাকুমারী যাওয়ার পথে এক আধা শহরে। ব্যবসা করি একটা ছোটখাট। এসব শুনেই রণে ভঙ্গ দেন অনেকেই। কিন্তু এরা দুজনই বেশ মনযোগ দিয়ে শুনছিলেন আমার কথা। মেয়েটি জানলার ধারে বসে বাইরে তাকিয়ে বসে ছিল। আমাদের কথা শুনছিল বলে মনে হচ্ছিল না আমার। কিছুক্ষন পর কথাবার্তা বন্ধ হল স্বাভাবিক নিয়মে। আমি একটা বই বার করে পড়তে শুরু করলাম। বাইরে তখন মেঘ করেছে বেশ। তাকিয়ে দেখি মেয়েটি তখনও বাইরেই তাকিয়ে আছে। শান্ত,স...

Motherhood - A story of a woman rediscovering the true essence of motherhood when she struggling to choose between career and motherhood

আমার জীবনে দেখা দুটি ঘটনা শ্রীরামপুর মাসি বাড়ি যাচ্ছি  বছর দুয়েক  আগে মেইন লাইন বর্ধমান লোকাল উঠেছি কিন্তু compartment হৈ হৈ কাণ্ড একটা বছর চার পাঁচেক বাচ্ছা বোধহয়  ভুল করে একা ট্রেনএ উঠে পড়েছে l হটাৎ করে বাবা মা na পেয়ে বাচ্চা খুব কাঁদছে  আর ভয়ের চোটে এক ভদ্রমহিলাকে জড়িয়ে ধরেছে l ভদ্রমহিলা একটু অপ্রুস্তুত l কি করা হবে?  শেষেমেষ  হাওড়া  জি র পি তে বাচ্চা টা জমা দেয় হোল l আমি হেল্প করেছিলাম ফেরার সময় দেখে ছিলাম সেই ভদ্রমহিলার  চোখে মাতৃয়ের আকুতি l এই  নিয়ে আমার আজকের এই গল্প |  কি অদ্ভুত সব মেয়ের মধ্যই বোধহয়ই এক মা বাস করে | কারো কারো মন নারী পুরুষ সব ক্ষেত্রেই তাদের মন কেবল শরীরেই আবদ্ধ। শরীরের বাইরেও যে বিশাল জগত তার খবরই রাখে না। ঈশ্বর সৃষ্ট নারী বিপুল বিস্ময়ের আকর।অত্যন্ত বেদনার কথা নারীর সেই সব মনি-মাণিক্য কিছু মানুষের নজরেই পড়েনা।নারী পুরুষের তুলনায় কোথায় পিছিয়ে?তারা কি কেবল ভোগ্য পণ্য? ব্যাগের মধ্যে মোবাইলটা বাজছে, গুঞ্জার একটুও ইচ্ছা করছে না কারও সাথে কথা বলতে। মনে হয় দীপ্তেশ। এক ছাদের তলায় থেকে গত তিনচার দিন ধরে সামান্য ক...

ভেঁদোদা - Sometimes we repent for mistakes of past

গ্রামের ছেলে শহরে এলেই তার পেখম গজায়। ধরাকে সড়াজ্ঞান করে। পৌরুষ যেন মুহু-মুর্হু জেগে ওঠে। আমি নিজে তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। লেজে পাখনা গজালো। কাক থেকে ময়ূর হয়েগেলাম। যে পাড়ায় আমাদের কলেজের হস্টেলটা ছিল, সেখানকার পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি বন্ধুত্ব হয়ে গেলো। শুধু আমি নয় আরও অনেকের। অবসর পেলেই হোস্টেলের রাস্তার সামনে ক্রিকেট ফুটবল খেলা হতো। আমাদের হোস্টেলটা একমাত্র পাকা বাড়ি। রাস্তার ওপারে সব খোলার চালের বাড়ি বলতে গেলে বস্তি। রবিবারের খেলাটা খুব জমতো। পাড়ার গুরুজনেরাও বাজার শেষে চা-টা খেয়ে আমাদের সঙ্গে একদান লেগে পরতো। আমরা যেখানে খেলতাম তার সামনেই সর্বেশ্বর জ্যেঠুর রেশনের দোকান। বল প্রায়ই জ্যেঠুর দোকানে ঢুকে পরতো। জ্যেঠু প্রথম রাগ করতো। একেবারে রেগে অগ্নিশর্মা পরে রাগ করতো না। জ্যেঠুর দোকানে ভেঁদোদা বলে একটা গোলগাল কালো মতো লোক রেশনের জিনিষ-পত্র মাপামাপির কাজ করতো। মাঝে মাঝে লড়ি করে চাল গম তেল এলে মাথায় করে নামিয়ে দোকানে রাখতো। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা কোনদিন ভেঁদোদাকে আমি হাফ প্যান্ট আর একটা স্যান্ডো গেঞ্জির জায়গায় কিছু পরতে দেখি নি। খুব বেশি হলে শীতকালে একটা মেয়েদের ছোট চাদর জড়িয়ে নি...